বাংলাদেশ ও নিউ জিল্যান্ডের মধ্যকার তৃতীয় ওয়ানডে চলাকালীন ড্রেসিংরুম থেকে বেরিয়ে বাসায় ফিরে যান জাতীয় দলের টিম অপারেশন্স ম্যানেজার নাফিস ইকবাল। বিশ্বকাপ বহরে তাকে যুক্ত করা হবে না, এমন খবর শোনার পরই দায়িত্ব ছেড়ে বিদায় নেন নাফিস।
অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের চাওয়াতে নাফিসকে সরিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ। বোর্ড সূত্রে এমন খবর জানা গেছে।
যদিও সাকিব দাবি করেছেন এমন কিছু তার জানা নেই, ‘আমি আসলে খবরটি সম্পর্কে জানি না। যদি আসলেও সে খেলার মাঝপথে চলে যায় তাহলে খুবই অপেশারিত্ব দেখিয়েছে। উনার দিক থেকেও, বিসিবির দিক থেকেও। এটা চিন্তাও করা যায় না যে, আন্তর্জাতিক ম্যাচ চলাকালীন একজন ড্রেসিংরুম থেকে চলে যাবে। এটা যে কেউ হতে পারতো। এটা কিভাবে হয় আমার কোনো ধারণা নেই।’
পরবর্তীতে বোর্ডের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে সাকিব যোগ করেন, ‘এরকম ঘটনা যদি আসলেও ঘটে থাকে…আমি জানি না আসলে কি হয়েছে। যদি হয়েই থাকে তাহলে বিসিবি যে একটা বড় ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে এটা তারই একটা প্রমাণ।’
সাকিবের এমন কথায় স্বাভাবিকভাবেই ভালোভাবে নেননি নাফিস ইকবাল। নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছেন প্রতিক্রিয়া, ‘আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে আমি আবেগের বশে জাতীয় দল ছেড়ে চলে যাই। ২৬ সেপ্টেম্বর তৃতীয় ওয়ানডের দিন সকালে আমাকে জানানো হয়েছিল, বিশ্বকাপগামী বহরে আমি থাকছি না। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেও একই ঘটনা ঘটেছে।’
নাফিস আরও বলেন, ‘আমিও মানুষ। আমারও আবেগ আছে। আমি অবশ্যই বিসিবি থেকে পদত্যাগ করিনি এবং ছোট ভাই তামিম ইকবালের সঙ্গে যা ঘটছে, তার সঙ্গে আমার কাজের কোনো সম্পর্ক নেই। মাঠ থেকে আমার চলে যাওয়ার ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা পর বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করা হয়। সেদিন আমি বিসিবির সব রকম নিয়ম ও আচরণবিধি পুরোপুরি মেনেছি। মাঠে আসার আগে আমি বিষয়টি সবার আগে প্রধান কোচ এবং বিসিবির সংশ্লিষ্ট অফিশিয়ালদেরও জানাই।’
‘আমি নিশ্চিত করতে চাই, সেদিন কোনো কাজই অর্ধেক সম্পন্ন করা হয়নি, যেমন ম্যাচের খেলোয়াড় তালিকায় সই করা, নিউ জিল্যান্ড সিরিজে হিসাব বিভাগের কাগজপত্রের ঝামেলা মেটানো এবং বিশ্বকাপের জন্য আমাকে যে দৈনিক ভাতা দেওয়া হয়েছিল, সেটাও ফিরিয়ে দিয়েছি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এমন সব মুহূর্তে সম্মান প্রাপ্য এবং আসল ঘটনা না জেনেই মন্তব্য করা ঠিক না।’ – যোগ করেন সাবেক বাংলাদেশী ওপেনার।
সবসময় সৎ ছিলেন এবং থাকবেন জানিয়ে নাফিস বলেন, ‘নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ার এবং বাংলাদেশ দলের ম্যানেজমেন্টের অংশ হিসেবে সৎ ছিলাম। আমি নিশ্চিত করছি নিজের সেরাটাই দেবো এবং সব সময় এটাই করবো।’