গোমতী নদীর চরে চাষ করা হচ্ছে মিষ্টি কুমড়ার। স্থানীয় বাজারসহ আশেপাশের জেলাগুলো ব্যাপক চাহিদা থাকায় ভাল দামও পাচ্ছেন তারা। চলতি বছর মিষ্টি কুমড়া চাষে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন কুমিল্লার সদর ও বুড়িচং উপজেলার চাষিরা।
জানা যায়, গোমতি নদীড় চরে মিষ্টি কুমড়া ছাড়াও শিম, বেগুন, লাউ, ঢেঁড়স, ঝিঙা, বেগুন, চিচিঙ্গা, টমেটোসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষাবাদ হয়ে থাকে। সময়, শ্রম ও খরচ কম হওয়ায় জনপ্রিয়তা পাচ্ছে মিষ্টি কুমড়ার চাষ।
চলতি বছর চরে ৮০ শতক জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন কৃষক মামুন মিয়া। তিনি ফুলকপির পাশাপাশি মিষ্টি কুমড়ার চারা বপন করেছিলেন। ফুলকপি তোলার পর একই জমিতে ফলতে থাকে মিষ্টি কুমড়া। বীজ, সার, পরিচর্যা, শ্রমিকসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ হয় প্রায় ৬০ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে ক্ষেত থেকে কুমড়া বিক্রি শুরু করেছেন। এ পর্যন্ত তিনি ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকার মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করেছেন।
এ প্রসঙ্গে মামুন বলেন, চলতি বছর মিষ্টি কুমড়ার ভালই ফলন পেয়েছি। প্রচলিত অন্যান্য ফসলের তুলনায় এর চাষাবাদ অনেক সহজ। স্বল্প খরচে ভাল ফসল পাওয়া যায়। এছাড়াও বাজারে ভাল চাহিদা থাকায় বিক্রি নিয়ে কোন চিন্তা থাকেনা। বর্তমানে প্রতিপিস কুমরা ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা করে পাইকারি বিক্রি করা হচ্ছে। যদিও শুরুর দিকে ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি করেছি।
কুমিল্লা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আইউব মাহমুদ জানান, প্রতিনিয়ত চর এলাকায় মিষ্টি কুমড়ার আবাদ বাড়ছে। স্থানীয়ভাবে পাইকাররা এসে কিনে নিয়ে যায় ফলে চাষিদের বাজারজাতকরনে তেমন একটা কষ্ট করতে হয় না। এছাড়াও বাজারে চাষিরা ভাল দাম পাচ্ছেন। নতুন নতুন চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শমূলক সেবা প্রদান করা হচ্ছে।