সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে ৩৬ মণ ওজনের গরু বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক। সোমবার দুপুরের দিকে ঐ কৃষকের বাড়িতে সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়নের সোনারাম গ্রামের বাসিন্দা ফারুক আহমেদ ও তার স্ত্রী হাসি বেগম তাদের নিজ বাড়িতেই গরুটি লালন পালন করে আসছেন।
গরু বিক্রি করে নিজেদের ভাগ্য ফেরাবেন এমন প্রত্যাশা তাদের। গরুটির প্রায় ৩৬ মণ ওজনের। এ গরুটি অষ্ট্রেলিয়ার ফ্রিজিয়ান প্রজাতির। খুবই শান্ত ও রোগমুক্ত এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকিমুক্ত অষ্ট্রেলিয়ার ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টি দাম কিছু কম হলেও তিনি বাড়িতেই বিক্রি করতে চান। শখ করে লালন পালন করা এই ষাঁড়টি দেখার জন্য প্রতিদিনই তার বাড়িতে ভিড় করছেন আশেপাশের এলাকাসহ দূরদূরান্তের উৎসুক জনতা।
গরুটির মালিক ফারুক আহমেদ জানান, বিয়ের পর থেকে ভাগ্য ফেরাতে কৃষি কাজের সাথে নিজ বাড়িতেই ২-১টা করে গরুর পালন করে থাকেন। দীর্ঘ ৫ বছর বিশেষ যত্নের সঙ্গে লালন-পালন করছেন প্রায় ৩৬ মস ওজনের গরুটিকে। ফারুক আহমেদের স্ত্রী হাসি বেগম বলেন, নিজের সন্তানের মতো লালন পালন করেছেন গৃহপালিত পশু ধলা বাবু।
নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে ধলা বাবুকে পালন করেছেন পাঁচ বছর ধরে। তবে তিনি জানান ন্যায্য মূল্য পেলে এবার বিক্রি করে দেবেন। তিনি সাংবাদিকদের আরো বলেন, আমরা শত কষ্টের মাঝেও গরুটির প্রতি কোনো অবহেলা করিনি। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে এই গরুটিকে লালন পালন করেছি। ধলাবাবুর পছন্দের খাবার চিপস ও দেশীয় ঘাস।
রায়গঞ্জ উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের ভেটেনারী সার্জন আমিনুল ইসলাম জানান, রায়গঞ্জে বড় গরু আরো ছিল সেগুলো বিক্রি হয়েছে তবে এ বছর রায়গঞ্জ উপজেলায় এর চাইতে আর কোন বড় গরু নেই। আমি খামারিদের বাড়িতে নিয়মিত পরিদর্শন করে সার্বিক সহযোগিতা করছি। কখন কি করতে হবে এ বিষয়ে পরামর্শসহ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন স্টেরয়েড, অ্যান্টিবায়োটিক, হরমোন ইত্যাদি ব্যবহার করে কৃত্রিম উপায়ে কেউ যাতে গরু মোটাতাজাকরণ করতে না পারে তা উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিস নিয়মিত মনিটরিং করছে। নিরাপদ প্রাণীজ আমিষ নিশ্চিতে আমরা খামারি পর্যায়ে সবার কাছে গিয়ে তাদের বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছি। আশা করি খামারি ভালো দাম পাবেন।