নরসিংদীর পলাশে হাটবাজার পরিচালনা করাকে কেন্দ্র করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুরুত্বর আহত পাঁচজনকে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে চরসিন্দুর বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, চরসিন্দুর বাজারের কলার হাটের ইজারা নিয়েছিল স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতরা। গত ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগ নেতারা পালিয়ে যায়। পরে সেই হাটকে কর মুক্ত ঘোষণা করে ইউএনও। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাসহ হাটের উন্নয়নের দায়িত্ব নেয় স্থানীয় ছাত্ররা।
গত কয়েকদিন ধরে চরসিন্দুর বাজারে কলার হাট ও পশুর হাট পরিচালনার দায়িত্ব নিতে চায় বিএনপি নেতা-কর্মীরা। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিএনপির শতাধিক নেতা-কর্মী হাটে অবস্থান নিতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে দুপক্ষের ২০ জন আহত হন। ওই সময় বেশ কয়েকজন ছাত্রের বাড়ি-ঘরে হামলা চালানো হয়। আহত কয়েকজনকে উদ্ধার করে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত শিক্ষার্থী মোকাররম জানান, ‘চরসিন্দুর বাজারের কলার হাটের ইজারা নিয়েছিল স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতরা। গত ৫ আগস্টের পর তারা পালিয়ে যায়। পরে সেই হাটকে কর মুক্ত ঘোষণা করে ইউএনও। পরে হাটের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাসহ হাটের দায়িত্ব দেয়া হয় স্থানীয় ছাত্র ও সমন্বয়কদের। এখন বিএনপি নেতা-কর্মীরা চায় তারা হাটের নিয়ন্ত্রণ নিতে। এ ঘটনার জেরে তারা আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।’
পলাশ থানার ওসি মো. ইকতিয়ার উদ্দিন জানান, সাপ্তাহিক হাট পরিচালনাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।