অবকাশ যাপন, জরুরি কাজ কিংবা নীড়ে ফেরা; সবকিছুতেই আজকাল বিমান পরিষেবা অপরিহার্য। দীর্ঘ পথ পাড়ি কিংবা দ্রুতগামী সার্ভিস, কারণ যেটাই হোক বিমানের কিন্তু বিকল্প নেই। বিশেষ করে যাদের হাতে সময় কম, তাদের জন্য।
শুধু কি তাই, অনেকে এমনিই বিমানযাত্রা পছন্দ করেন। কিন্তু তার সঙ্গে যদি পাওয়া যায় অতিরিক্ত কোনো পরিষেবা! সত্যি সত্যিই এমন কিছু বিমান পরিষেবা রয়েছে, যা চমকে যাওয়ার মতোই!
দেখে নিন এমন কিছু বিমান পরিষেবার কথা-
জামা ছাড়া বিমানে
এক জার্মান বিমান পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা এমনই আজব পরিষেবার ব্যবস্থা করেছিল। বিমান সেবিকা থেকে শুরু করে সব যাত্রীদের থাকতে হবে নগ্ন। এটাই নিয়ম। বিমান উঠেই সবাইকে খুলে ফেলতে হবে পোশাক। আবার বিমান থেকে নামার আগে সব পোশাক পরে নিতে হবে। তবে বিমানটি একটি এয়ারপোর্ট থেকে বিশেষ একটি দ্বীপ পর্যন্ত শুধু চলাচল করত। ওই দ্বীপে যারা বেড়াতে যেতেন, তাদের নিয়ে যেত বিমানটি।
বি;কিনি সুন্দরী
ভিয়েত জেট নামে এক বিমান পরিষেবা সংস্থা এমন অদ্ভুত বিমান নিয়ে আসে। সব বিমান সেবিকাই সেখানে বি;কিনি পরিহিতা। এমনকী তারা নাকি বিমান চলাকালীন ভেতরে হাওয়াইয়ান নাচ করতেন। তবে এই পরিষেবা দ্রুত বন্ধ হয়ে যায়।
বিমানে মাসাজ
লম্বা বিমান যাত্রা অনেক সময়েই ক্লান্তিকর হয়ে যেতে পারে। আর তাই মালটা এয়ারওয়েজ এক সময়ে নিয়ে আসে বিমানে স্পা পরিষেবা। সেখানে যাত্রীর অর্থের বিনিময়ে মাসাজ নিতে পারতেন।
হুটারস এয়ারলাইন্স
আমেরিকার বিখ্যাত রেস্তোরাঁ পরিষেবা কোম্পানি হুটারস এক সময়ে বিমান পরিষেবাতেও ঢুকে পড়ে। তবে তাদের প্রধান আকর্ষণের জায়গা খাবার ছিল না। বরং এখানে বিমান সেবিকারা ছোটখাটো পোশাক পরে যাত্রীদের মনোরঞ্জনের চেষ্টা করতেন বলে শোনা যায়। পরে এটি বন্ধ হয়ে যায়।
হ্যালো কিটি
কার্টুনের থিমের উপর তৈরি এই প্লেনের যাবতীয় জিনিস। জাপানের ধনকুবেরের মালিকানাধীন এই বিমান পরিষেবার সব কিছুতেই থাকত বিড়ালের ছবি। বিমানের গায়ে ‘হ্যালো কিটি’ কার্টুনের ছবি, সিটে ছবি, বিমান সেবিকাদের জামায় ছবি, খাবারের বাক্সে ছবি। সব মিলিয়ে বিড়ালের ছবিময় একটি বিমান।