এখন সিনেমা থেকে অন্তর্ধ্যান। তবুও সিনেমা প্রেমীদের কাছে রোমান্টিক এক নায়িকা। বাংলাদেশের সিনেমার অলংকার শাবনূর। এক সময় তার সিনেমা মানেই হাউসফুল।
এখনো টিভি চ্যানেলগুলোতে তার অভিনীত সিনেমা প্রচার হলে দর্শক মুগ্ধ হয়ে উপভোগ করে। এখনো শাবনূরের নামটিই ভার্সেটাইল অভিনেত্রী হিসেবে শ্রদ্ধার সঙ্গে উচ্চারিত হয়।
এখনো তার ভক্তদের সব সময়ই জিজ্ঞাসা থাকে, তিনি কেমন আছেন, কী করছেন! শাবনূর বর্তমানে অস্ট্রেলিয়াতেই আছেন। করোনার আগে থেকেই সেখানে আছেন তিনি। তবে শিগগিরই ফিরতে চান দেশে।
একটি সংবাদমাধ্যমকে শাবনূর বলে, দেশের জন্য মনটা সব সময় কাঁদে। যতই বিদেশে থাকি না কেন মনটা দেশের মাটিতেই পড়ে থাকে। এ অবস্থা কিন্তু শুধু আমার নয়, সব বাংলাদেশিরই। নিজ দেশের সব মানুষের মতো আমারও একটিই পরিচয়- আমি বাঙালি। বাংলাদেশকে আমি ভালোবাসি। দেশকে নিয়ে গর্ব করি।
হয়তো জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে অনেকের মতো আমাকেও বিদেশে থাকতে হচ্ছে। আমি দেশকে যেমন ভালোবাসি তেমনি আমার প্রাণের চলচ্চিত্র জগৎকেও অনেক ভালোবাসি। সবার মতো আমারও কমন কথা হলো- ‘চলচ্চিত্র জগৎ আজ আমাকে নাম, খ্যাতি, যশ সবই দিয়েছে, চলচ্চিত্রের কারণেই আজ আমি সবার কাছে ‘অভিনেত্রী শাবনূর’ হতে পেরেছি।
অস্ট্র্রেলিয়ায় সময়টা কীভাবে কাটছে?, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইজানের দেখাশোনা আর ফল, ফুল, সবজির বাগান করে সময়টা ভালোই কেটে যাচ্ছে। তাছাড়া ছোট বোনের স্বামীর সঙ্গে এখানে অল্প-স্বল্প ব্যবসা বাণিজ্য রয়েছে আমার। এসব নিয়ে বেশ আছি। তারপরও দেশের সুখ-শান্তি কোথাও খুঁজে পাই না।
অভিনয় থেকে দূরে থাকার পর নিজেকে নায়িকা ভাবতে কেমন লাগে?, শাবনূর বলেন, অভিনয়কে খুব মিস করি, তবে নিজেকে কখনো নায়িকা ভাবতে পারিনি। আমার মনে হয় আমি অন্য দশটা সাধারণ মেয়ের মতোই। চলচ্চিত্রটা আমার কাছে সংস্কৃতির চর্চা মাত্র। চলচ্চিত্র আমার প্রাণের জায়গা। আমার আসল আবাসস্থল। এখান থেকেই আজকের শাবনূরের জন্ম। চলচ্চিত্রকে মনেপ্রাণে ভালোবাসি কিন্তু নিজেকে নায়িকা ভাবতে লজ্জা লাগে ভীষণ।