বদমেজাজী বলে ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ বদনাম আছে বলিউডের সিঙ্ঘম অজয় দেবগনের। কাজলের প্রথম গর্ভপাতের ঘটনা তারই প্রমাণ। এ বেদনাদায়ক ঘটনার সাথে জড়িয়ে আছে শাহরুখ খানও। এর জেরে কাজলকে জনসম্মুখে থাপ্পড়ও মেরেছিলেন অজয়। খবর দ্য নিউজের।
‘কাভি খুশি কাভি গাম’ ছবিটি কাজলের ক্যারিয়ারে অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। শাহরুখ খানের সাথে জুটি বেঁধে এই সিনেমায় অভিনয়ের জন্য কাজলের জনপ্রিয়তা উঠে গিয়েছিল অন্যমাত্রায়। একই সাথে শাহরুখের সাথে কাজলের গভীর বন্ধুত্বের কথাও অজানা নয় কারোর। তবে এই সিনেমার শ্যুটিং সেটেই ঘটে কাজলের জীবনের সবচেয়ে অপ্রত্যাশিত ঘটনা। এরই প্রেক্ষিতে কাজল একবার বলেছিলেন, এই ছবির সাফল্যে আমি একটুও আনন্দ করতে পারিনি।
আসলে মেয়ে নায়সা এবং ছেলে যুগের জন্মের আগে দু’বার গর্ভপাত হয় কাজলের। আর তার জন্য স্বামী অজয় তাকেই দোষারোপ করেছিলেন। প্রথমবার গর্ভবতী হওয়ার পর কাজলকে অভিনয় করতে বারণ করেন অজয়। কিন্তু স্বাধীনচেতা কাজল নিজের জীবনের সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে পছন্দ করেন। তাই স্বামীর কথা না শুনে অভিনয়ের সুযোগ আসায় তিনি পিছপা হননি।
জানা যায়, ২০০১ সালে করন জোহরের ছবি ‘কভি খুশি কভি গম’ ছবির সেটে নাচতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। শাহরুখ খানের সঙ্গে ‘ইয়ে লড়কা হ্যায় আল্লাহ’ গানের দৃশ্যের শ্যুটিং চলছিল। নাচের রিহার্সাল করতে গিয়ে হঠাৎ মাথা ঘুরে পড়ে যান কাজল। সেই মুহূর্তেই খবর পেয়ে সেটে চলে যান অজয়। সকলের সামনে কাজলকে কষে চ;ড় মারেন তিনি।
এ নিয়ে করনের ওপরেও চটে গিয়েছিলেন অজয়। গর্ভবতী হলেও তাকে দিয়ে নাচ করানোর জন্য় এই পরিচালককে ধমকও দেন অভিনেতা। পরবর্তীতে কাজলকে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তখন। এ ঘটনার অনেক দিন পর্যন্ত অজয়-করনের সম্পর্ক ভালো ছিল না। এরপর দ্বিতীয়বার গর্ভপাত হয় কাজলের।
পরবর্তীতে এক সাক্ষাৎকারে কাজল বলেন, করনের ‘কাভি খুশি কাভি গাম’ ছবিটি ব্যাপক সফল হয়। কিন্তু সে সময়ে ছবির সাফল্যে একটুও আনন্দ করতে পারিনি। প্রথম সন্তানকে হারিয়েছি সেবার। তারপর আবারও গর্ভপাত হয়। অজয় এবং আমার জন্য সেই সময়টা খুবই কঠিন ছিল। কিন্তু এখন আমাদের পরিবার সম্পূর্ণ। নায়সা এবং যুগ এসেছে আমাদের জীবনে।