জরায়ু কেটে ফেলা হয়েছে শুনে ডাক্তারের কাছে ছুটে গেলেন রাখি

‘রাখির জরায়ু কেটে ফেলা হয়েছে। সুতরাং রাখি কখনো মা হতে পারবে না।’— জেল থেকে ছাড়া পেয়ে বলিউড বাবল-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন রাখির প্রাক্তন স্বামী আদিল। তারপর বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে।

আদিলের এমন মন্তব্য রাখির কানে পৌঁছানোর পর বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। তার দাবি— অস্ত্রোপচার করে তার জরায়ু কেটে ফেলা হয়নি। তার প্রমাণ দেওয়ার জন্য ডা. বীণা শিণ্ডের কাছে ছুটে যান রাখি। কারণ এই চিকিৎসক রাখির অস্ত্রোপচার করেছেন। তারপর ডা. বীণা শিণ্ডে রাখির লাইভে কথা বলেন।

আদিলের অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন চিকিৎসক। ডা. বীণা শিণ্ডে বলেন—‘অস্ত্রোপচার করে রাখির শুধু ফাইব্রয়েডগুলো কেটে ফেলা হয়েছে। তার ইউটেরাস বা জরায়ু বাদ দেওয়া হয়নি। ফলে রাখি অবশ্যই মা হতে পারবে।’

শুধু রাখির মা হওয়া নিয়েই মন্তব্য করেননি, আরো বেশ কিছু বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন আদিল। তার অভিযোগ— প্রথম স্বামী রীতেশ সিংকে ডিভোর্স না দিয়েই তাকে বিয়ে করেন রাখি। তার মতে, ‘রাখির মতো নারীদের সঙ্গে কথা বলাও বিপজ্জনক। সংবিধানে নারীসুরক্ষার যে আইন রয়েছে, তার অপব্যবহার করে যা খুশি তাই করতে পারে।’

গত বছর আদিল ডুরানির সঙ্গে পরিচয় হয় রাখির। সম্পর্কের তিন মাসের মাথায় বিয়ে করেন তারা। গত বছরের জুলাই মাসে দুবাইয়ে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। এজন্য ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন রাখি; নাম পরিবর্তন করে হয়েছেন রাখি সাওয়ান্ত ফাতিমা। রাখির দায়ের করা মামলায়ই জেলে ছিলেন আদিল। জেল থাকা অবস্থায় আদিলকে ডিভোর্স দেন রাখি।

এর আগে এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানায়, গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে মুম্বাইয়ের ওশিওয়ারা থানায় স্বামী আদিলের বিরুদ্ধে ৪০৬, ৪২০ আইপিসি ধারায় মামলা দায়ের করেন রাখি সাওয়ান্ত। তারপর পুলিশ আদিলের বিরুদ্ধে আইপিসি ধারা ৪৯৮ (এ), ৩৭৭ যুক্ত করেন।

বিকৃত যৌনাচার, শারীরিক নির্যাতন, পরকীয়া, অর্থ-গহনা চুরি এবং পণ নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন রাখি। পুলিশের তথ্যানুসারে, ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে পরিচয় আদিল ও রাখির। এরপর একসঙ্গে একটি বিজনেস অ্যাকাউন্ট খোলেন দুজনে। নতুন গাড়ি কেনার জন্য ২০২২ সালের জুন মাসে ওই অ্যাকাউন্ট থেকে ১ কোটি ৫০ লাখ রুপি তুলে নেন আদিল।